Skip to main content

Posts

আমি আমারে ভালো জানতাম

মানুষের মারামারি দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। রাস্তায় মারামারি লেগেছে কিংবা মারামারি লাগার সম্ভাবনা আছে, এমন দেখলেই দাঁড়িয়ে যাই। আজকেও এমন দৃশ্য সামনে পরলো। তাই তাড়া থাকা সত্বেও দাঁড়িয়ে গেলাম। অটোওয়ালা একজন পথচারীর গায়ে লাগায়া দিছে। দুইজনই মারমুখী পজিশনে। কেউ কারো দোষ স্বীকার করতে রাজি না। তবে আমার ধারণা অটোওয়ালারই দোষ। কারণ এখানকার অটোওয়ালাদের আমার মানুষের বাচ্চা মনে হয়না। পনেরো-বিশ ফিট দূরে দাঁড়িয়ে পছন্দের দৃশ্য উপভোগ করছি। এরমধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে গেছে। টানটান উত্তেজনা। মারাত্মক পর্যায়ে মারামারি হচ্ছেনা কিছু আউট লোকের কারণে। এই লোকগুলাকে আমি তীব্র ঘৃণার চোখে দেখি। এরা ঝামেলার আগেও থাকেনা, পরেও থাকেনা। মাঝখানে ঢুকে দুই দলকেই শান্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। মনে হয় রাস্তায় যারা ঝামেলা করতেছে, তারা তাদের বাপ-ভাই লাগে; না থামালে অন্যায় হয়ে যাবে। এমন অবস্থায় একজন লোক এসে, কিছুটা বিস্ময়ের সাথে বললো-- : ভাই আপনি এখানে? আমাকে চিনতে পারছেন? মনোযোগ পুরোপুরি মারামারিতেই ছিলো। চোখ ঘুরিয়ে যে লোকটাকে দেখলাম, তাকে আমি চিনতে পারলাম না। লোকটার সাথে তার স্ত্রী এবং স্ত্রীর কোলে ছোট বাচ্চা। চি...
Recent posts

#showoff

তিন বছর সম্পর্ক করার পর যখন ওর অন্যখানে বিয়ে হলো। তখন নিজের ভাগ্যের প্রতি খুব রাগ হয়েছিলো। এমনকি সৃষ্টিকর্তার প্রতি ও অভিমান হয়েছিলো। কেনো তিনি, তাকে আমার ভাগ্যে লিখলেন না। কিন্তু তার বিয়ের পরও যখন কিছু দিন তার সাথে কথা বললাম, তাকে আরও নতুন করে জানলাম, তখন বুঝলাম আমি বোলী হতে হতে বেঁচে গেছি। তার সাথে বিয়ে হলে আমি কখনোই সুখী হতে পারতাম না... দুই বছর আগের কথা। এতো খারাপ সময় যাচ্ছিলো। কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। মিরপুর থেকে চন্দ্রা, চন্দ্রা থেকে মিরপুর ছুটাছুটি করলাম। কতোজনকে রিকোয়েস্ট করলাম, একটা চাকরির জন্য। কেউ দিলো না। ছয়মাস বেকার থেকে, জমানো টাকা পয়সা সব খেয়ে ফেললাম। তখনো ভগ্যের প্রতি খুব রাগ হয়েছিলো। মনে মনে ভাবতাম শালার কি বালের একটা কপাল নিয়া জন্মাইছি। অথচ আল্লাহ্ এখন এতো ভালো রাখছে যেটা কখনো কল্পনা ও করিনি। সেই সময় যেসব চাকরির পেছনে ছুটেছিলাম, সেই চাকরিগুলোর কোন একটা যদি করতাম, তবে সর্বোচ্চ দশ থেকে বারো হাজার টাকা বেতন পাইতাম। অথচ আমি আমার জীবনের সর্বোচ্চ ইনকাম [তেত্রিশ হাজার ছয়’শ] এই মাসে করলাম । টাকাগুলো মায়ের হাতে দেয়ার পর, মা সাত-আটবার গুণেও কনফিউশানে পরে গেলো। এতোবার গু...

প্লাস্টিক ও মানবজাতির ভবিষ্যৎ

গতোকালকে প্লাস্টিক সম্পর্কিত একটা প্রতিবেদন দেখলাম এবং আজকে একটা নিউজ পড়লাম। দুইটা জিনিস দেখে এবং পরে আমি জাস্ট ঘাবড়ে গেলাম। আমরা মানবজাতি কতোটা হুমকি স্বরূপ নিজেদের জন্য, এবং পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণীর জন্য... আমরা একটা পলিথিন বা প্লাস্টিকের বোতল খুব তুচ্ছ মনে করে যেখানে সেখানে ফেলে দিচ্ছি। এই প্লাস্টিকগুলো কি হচ্ছে? কোথায় যাচ্ছে? এসব কি কিছুর খবর জানি আমরা? এই প্লাস্টিক প্রথমে কোন খাল বা ড্রেন ধরে চলে যাচ্ছে নদীতে, নদী থেকে সমুদ্রে। আমাদের ব্যবহৃত প্রায় নব্বই শতাংশ প্লাস্টিকের সর্বশেষ ঠিকানা হচ্ছে সমুদ্র। যার কারণে সমুদ্রের প্রাণীগুলোর হচ্ছে অকালমৃত্যু। এই পর্যন্ত তাও ঠিক ছিলো। কিন্তু এই মানুষের ফালানো প্লাস্টিক যখন মানুষের জন্যই হুমকি হচ্ছে যাচ্ছে, তখন তো ঘাবড়ে যাবারই কথা... একটি মার্কিন সংস্থা চেষ্টা চালিয়েছিলো যে সমুদ্র থেকে ৮০ শতাংশ প্লাস্টিক তারা সরিয়ে ফেলবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে- সমুদ্রের চাপে বা বিভিন্ন সময়ে প্লাস্টিক হয়ে যাচ্ছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। মাইক্রোপ্লাস্টিক হচ্ছে, প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণা। যা সমুদ্র কিংবা নদী থেকে সরিয়ে ফেলা অসম্ভব। আর দুঃখের বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশে ...

যখন মোবাইল ছিলোনা

এক সপ্তাহ ধরে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি অ্যান্ড্রোয়েড মোবাইল চালাবো না। কারণ এই যন্ত্রটা আমার সময় খেয়ে ফেলছে। প্রথমে চিন্তা করেছিলাম মোবাইলই চালাবো না। ফিরে যাবো সেই পুরনো দিনে। যখন মোবাইল ছিলো না। যখন নিজের জন্য সময় ছিলো অফুরন্ত। কিন্তু মোবাইল আমাদের জীবনে এমন ভাবে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে যে, মোবাইল ছাড়া জীবন প্রায় অচল। তাই সবকিছু বিবেচনা করে চিন্তা করলাম অ্যান্ড্রোয়েড ফোন ব্যবহার না করি। নরমাল বাটন সেট ব্যবহার করি। তারপর আবারও ভাবতে শুরু করলাম। যদি অ্যান্ড্রোয়েড ফোন ব্যবহার না করি, তাহলে কি কি উপকার হবে? আর কি কি মিস করবো বা অপকার হবে? ভাবতে ভাবতে কিছু প্রশ্নের উত্তর আমি নিজেই নিজেকে দিয়েছি। অ্যান্ড্রোয়েড ফোন না চালালে হয়তো নিজেকে বেশি সময় দিতে পারবো। বিনোদনের জন্য বাস্তব জীবনে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। খারাপ ভিডিও, ছবি, পর্ণ এসব থেকে দূরে থাকতে পারবো। প্রচুর বই পড়া হবে... কিন্তু যদি অ্যান্ড্রোয়েড ফোন ব্যবহার না করি, তবে অনেক কিছুই অজানা থেকে যাবে। অনেক মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি হবে না। এই অ্যান্ড্রোয়েড, ইন্টারনেট বা ফেসবুকের বদৌলতে অনেক মানুষের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, যারা বাস্তব...

যন্ত্রণাময় একপাক্ষিক ভালোবাসা

ওয়ান সাইড লাভ, কি যে যন্ত্রণাময় একটা ব্যপার! বিশেষ করে আত্মসম্মাবোধের একটা বিষয় । আর এই জিনিসটা বেশি করে হয়, মূলত যে তোমার উপযুক্তই নয়। শালার হাজারটা অকারণ থাকা সত্বেও তাকেই ভালো লাগতে হবে। তাকেই ভালো লাগে... ওয়ান সাইড লাভ বা এক তরফা ভালোবাসার মতো এই কুৎসিত ঘটনাটা আমার সাথেও ঘটেছে। তার সাথে সম্পর্ক না হওয়াতে যতোটা কষ্ট পেয়েছি, তার থেকেও বেশি কষ্ট পাচ্ছি এটা ভেবে যে—ও হয়তো ভাবছে আমি দেউলিয়া হয়ে গেছি। আসলে কেউ যদি অকারণে মনে করে আমি তার জন্য কষ্ট পাচ্ছি, আমার কাছে এর থেকে বেশি পরাজয়ের কিছু নেই এই মহাবিশ্বে। যে কারণে—সে আমার চুলের প্রসংশা করেছিলো বলে আমি মাথায় চুল রাখিনি। আমি চাইনা চুলের মতো সামান্য একটা বিষয়ের জন্য আমার তার কথা মনে পরুক। এক বন্ধুর সাথে থাকলে, তাকে নিয়ে বেশি আলোচনা হয় বলে সে বন্ধুর সাথে কথা বলি না। সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছি। সে হয়তো ভাবতে পারে তাকে ভেবে আমি সিগারেট খাচ্ছি, এজন্য সিগারেটটাও আমি লুকিয়ে খাই... এসব করি কারণ—তাকে আমি বুঝাতে চাই, আমি কারো জন্য কষ্ট পাওয়া লোক না। পৃথিবীতে একটাও মানুষ নেই যার জন্য আমি এক সূর্যাস্ত বেশি বাঁচার স্বপ্ন দেখি।

ছয় ঋতুর দেশ নেই বাংলাদেশ

 এখন আর ছয় ঋতুর দেশ নাই বাংলাদেশ। সারাবছর এখন আমি দেখি তিন ঋতু—গ্রীষ্ম, বর্ষা আর শীত। আমরাই মনে হয় সর্বশেষ প্রজন্ম, যারা ছয়টি ঋতুর আবহাওয়া গায়ে মেখেছি। প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে বড় হয়েছি। আহা কে জানতো, একদিন ঐসব প্রকৃতির সৌন্দর্য হারিয়ে যাবে। জানলে হয়তো কখনোই বড় হতে চাইতাম না... শরৎকালে দেখতাম নীল আকাশে উড়ে যাচ্ছে তুলোর মতো সাদা মেঘ। রাস্তার পাশ ঘেঁষে এবং নদীর কিনারাগুলোতে কাশফুল উঁকি দিতো। আমার বাড়িটা নদীর খুব কাছে। নদীর পাড়েই বিশাল মাঠ। আমাদের সময় সেই মাঠের তিন ভাগের পুরা এক ভাগে কাশফুল ফুটে থাকতো। যে কারণে আমাদের খেলার একটা বাড়তি আকর্ষণ যোগ হতো। এখন সেসব নাই... একটা সময় সারাদেশে দুর্ভিক্ষ ছিলো। বিশেষ করে আশ্বিন-কার্তিক মাসে মানুষের প্রচন্ড অভাব যেতো। এরপর যখন আমন ধান ঘরে তুলতো, তখন চারদিক কেমন উৎসবমুখর হয়ে উঠতো, সবাই সাধ্যের মধ্যে একটু ব্যয়বহূল হতে চাইতো। লাঠি খেলা হতো। পালাগান হতো। এখন বুঝি, ঐসময়টাকেই বলা হতো হেমন্ত কাল ।  ঋতুর রাজা বসন্ত। তবে বর্তমানে তা শুধু শাহবাগেই অনুধাবন করা যায়। গ্রামে আমের মুকুল দেখে আন্দাজ করা যায়, বসন্ত বোধয় এসে গেছে। তবে আমাদের সময় বসন্তকালে প্রকৃত...

ভারতের অধিকাংশ হিন্দুই মনে করে

ভারতের অধিকাংশ হিন্দুই মনে করে, বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রতি অত্যাচার করা হয়। এবং মুসলমানরা হিন্দুদের মেরে সাফ করে ফেলছে। বাংলাদেশে বসবাস করা অনেক হিন্দুর ও তাই ধারণা। অথচ তাদের যদি জিজ্ঞেস করা হয়, তাদের চৌদ্দ গুস্টির কেউ মুসলমানের হাতে খুন হয়েছে কি না, সেক্ষেত্রে তাদের নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়... বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার হয়, এই মিথ্যাটা জঘন্যভাবে ভাইরাসের মতো ছড়িয়েছে কিছু বিকৃত মস্তিষ্কের লেখক/লেখিকা। তার মধ্যে তসলিমা নাসরিন ও একজন। এছাড়া রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক লোকের ভূমিকাও অস্বীকার করা যায় না। সবশেষে এই মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন উড়ো তথ্যকে গায়ে মেখে, ভারতের কিছু সংখ্যক হিন্দুসম্প্রদায় মনে করে—মুসলিম হত্যা তেমন খারাপ কাজ নয়।